অনলাইন ডেস্ক:
করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন আবিষ্কার করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার মেডিক্যাল এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান ডক্টর অ্যাঞ্জেলিক কোয়েৎজি। ভাইরাসটির এই ধরনের আক্রান্ত হওয়ার পর উপসর্গ কেমন তা জানিয়েছেন তিনি। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে নিউ ইয়র্ক পোস্ট।
অ্যাঞ্জেলিক কোয়েৎজি জানান, তার কাছে চিকিৎসা নেওয়া সন্দেহভাজন কয়েক ডজন ওমিক্রন আক্রান্ত রোগীর শরীরে কেবলমাত্র মৃদু উপসর্গ দেখা গেছে। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ছাড়াই তারা পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
নিউ ইয়র্ক পোস্ট জানায়, গত ১০ দিনে তিনি অন্তত ৩০ জন রোগীকে চিকিৎসা দিয়েছেন। যারা করোনা পজিটিভ ছিলেন। তবে তাদের শরীরে তিনি কিছু ‘অপরিচিত উপসর্গ’ দেখতে পেয়েছেন তিনি।
অ্যাঞ্জেলিক কোয়েৎজি বলেন, আক্রান্তদের দেহে চরম ক্লান্তি দেখা গেছে। তরুণ রোগীদের ক্ষেত্রে এই উপসর্গ ছিল একেবারেই ‘অস্বাভাবিক।’ রোগীদের বেশিরভাগই পুরুষ। যাদের বয়স ৪০ বছরের নিচে। মজার বিষয় হচ্ছে, আক্রান্ত এসব পুরুষের মধ্যে অর্ধেকই করোনা টিকার পূর্ণ ডোজ নেওয়া ছিলেন। তাদের পেশীতে মৃদু ব্যথা, গলায় খুসখুস ভাব এবং শুকনো কাশি ছিল। মাত্র অল্প কয়েকজনের শরীরের তাপমাত্রা সামান্য বেশি ছিল।
গত ১৮ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকার স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের করানার নতুন ধরনের ব্যাপারে প্রথম সতর্ক করে দেন অ্যাঞ্জেলিক কোয়েৎজি। ওই সময় তিনি ৩০ জন করোনা রোগীর মধ্যে ৭ জনের শরীরে অস্বাভাবিক উপসর্গ দেখতে পান তিনি। যা করোনার অন্যান্য ধরনগুলোর উপসর্গের চেয়ে ভিন্ন।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনার এই নতুন প্রজাতিকে ‘উদ্বেগজনক ভ্যারিয়েন্ট’ হিসেবে ঘোষণা দেয়। সংস্থাটি বলেছে, করোনার নতুন ধরনটির স্পাইক প্রোটিনে ৩২ বার রূপ বদল ঘটেছে। সাধারণত ভাইরাসের এ ধরনের বারবার রূপ বদল সেটিকে আরও বেশি সংক্রামক এবং বিপজ্জনক করে তোলে।
সংক্রমণের আতঙ্কে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন শেষ মুহূর্তে স্থগিত করা হয়েছে। ৪ বছরের মধ্যে এটি বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার বৃহত্তম বাণিজ্য সম্মেলন। জেনেভায় এই সম্মেলনে ১৬৪টি সদস্য দেশের ১০০ বেশী মন্ত্রী এবং ৪,০০০ বেশী প্রতিনিধি অংশ নেওয়ার কথা ছিল।