অনলাইন ডেস্ক:
একইদিন রাত সাড়ে ৯টায় কাওরানবাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মকর্তা জানান, তথ্যের ভিত্তিতে সকাল থেকেই আমরা নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে তাদের খুঁজতে থাকি। পরে সন্ধ্যায় র্যাব-১০ এর একটি দল অভিযান চালিয়ে ঠিকানা পরিবহনের ওই ড্রাইভার মো. রুবেল ও হেলপার মো. মেহেদী হাসানকে আটক করা হয়।
এর আগে, ধর্ষণের হুমকির ঘটনা তুলে ধরে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী। তিনি লেখেন, আমার বাসা শনির আখড়া। এখান থেকে কলেজের (বকশী বাজার এলাকা) ভাড়া ১০ টাকা, প্রতিদিন ১০ টাকা দিয়েই যাচ্ছি। আজ কলেজে যাওয়ার সময় ঠিকানা বাসে করে গিয়েছিলাম। হেলপারকে ২০ টাকার নোট দিলে সে ভাড়া রাখে ১৫ টাকা। আমি তাকে ভালো করেই বলছিলাম আমার ১০ টাকা ফেরত দিতে, বাট সে দেয় তো নাই উল্টো বলে ‘দিমু না কী করবি কর’। এরপর চিল্লানোর পর সে বলে ‘গলা বড় করবি না, পাঁচ টাকা নে, না হয় নাইমা যা।’
ওই শিক্ষার্থী আরও লিখেছেন, বাসের একটা মানুষও তাকে একটা কথা বলে নাই। কেউ কিচ্ছু বলে নাই। ইভেন একটা পুলিশও ছিল, সেও কিছু বলে নাই। এরপর নামার সময় পাঁচ টাকা হাতে ধরায় দিয়ে বলে, ‘নে তোর টাকা, প্রতিদিনই তো আসবি, একদিন ধইরা…কোথাকার’। এই কথা যখন বলছে, তখন বাস অলরেডি রানিংয়ে, আমি তাকে কিছু বলার সুযোগও পাইনি আর বাসের নম্বর নোট করারও সুযোগ পাইনি। জোরে বাস টেনে চলে গেছে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা বলছেন, হাফ পাসের নিতে বলায় এক সহপাঠীকে বাসের হেল্পার ধর্ষণের হুমকি দিয়েছে। এর প্রতিবাদে রাজধানীর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বকশিবাজার মোড়ে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড নিয়ে সড়কে বিক্ষোভ করেন। পরে হাফ ভাড়া কার্যকর ও ধর্ষণের হুমকিদাতাকে গ্রেফতারের দাবিতে সরকারকে ২৪ ঘণ্টার দেন বিক্ষোভকারীরা।