অনলাইন ডেস্ক:
ফরিদপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মনিরা খাতুন নামে এক নারীর পেটে অস্ত্রোপচারের সময় রেখে দেওয়া কাঁচি ৬৪৩ দিন পর বের করা হয়েছে।
শনিবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করে মনিরার পেট থেকে কাঁচি বের করা হয়। অস্ত্রোপচারে অংশ নেন সার্জারি বিভাগ অধ্যাপক রতন কুমার সাহা, সহযোগী অধ্যাপক মোল্লা সরফউদ্দিন ও রেজিস্ট্রার সালেহ মো. সৌরভ।
রতন কুমার সাহা বলেন, তিন ঘণ্টা অস্ত্রোপচার করে কাঁচিটি সফলভাবে অপসারণ করা হয়েছে। মনিরাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। ৭২ ঘণ্টা পর তার অবস্থা সম্পর্কে বলা যাবে।
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর থানার ঝুটিগ্রামের খাইরুল মিয়ার মেয়ে মনিরা খাতুনের পেটে ব্যথার সমস্যা ছিল। ২০২০ সালের ৩ মার্চ ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তার পেটে অপারেশন করা হয়। এর পর পেটের মধ্যেই কাঁচি রেখে সেলাই করে দেওয়া হয়। অপারেশনের কয়েক দিন পর মনিরাকে নগরকান্দা উপজেলার পৈলানপট্টি গ্রামে বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের পরও তার পেটে ব্যথা ছিল। এরপর তিনি অন্তঃসত্ত্বা হন। পরে মনিরার পেটের বাচ্চা নষ্ট হলে তাকে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন স্বামী। এরপর গ্রাম্য চিকিৎসা করানো হয়, কিন্তু তার পেট ব্যথা কমেনি। দুদিন আগে তার পেটে অসহনীয় ব্যথা উঠলে তাকে মুকসুদপুরের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসার জন্য আনা হয়। ওই ক্লিনিকে এক্সেরের মাধ্যমে ডাক্তাররা দেখতে পান মনিরার পেটের মধ্যে একটি কাঁচি আছে।
মুকসুদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কয়েকজন চিকিৎসক জানান, ২০২০ সালের ৩ মার্চ অপারেশনের সময় ভুলে তার পেটের ভেতরে এই কাঁচিটি রেখে দেওয়া হয়েছিল।
এ বিষয়ে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের একজন অধ্যাপক নাম না প্রকাশের শর্তে জানান, ঘটনাটি অপ্রত্যাশিত, অনাকাঙ্খিত ও দুঃখজনক।