অনলাইন ডেস্ক:
সর্বজনীন পেনশন স্কিমে যে পরিমাণ অর্থ জমা হবে, তার একটি অংশ চাঁদাদাতারা ঋণ হিসেবেও নিতে পারবেন। অর্থাৎ প্রয়োজনের সময় ব্যাংকের স্কিমের থেকে যেভাবে ঋণ নেওয়া যায়, তেমনই এ স্কিম থেকেও ঋণ নেওয়ার সুযোগ আছে।
গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কবিরুল ইজদানী খান ব্যবসায়ীদের সংগঠন মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিতে (এমসিসিআই) অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় সর্বজনীন পেনশন স্কিমের বিভিন্ন সুবিধা নিয়ে বক্তব্য উপস্থাপনকালে এ তথ্য জানান তিনি।
জানা গেছে, নিজের বা পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসা, গৃহ নির্মাণ, গৃহ মেরামত বা সন্তানের বিবাহের ব্যয় নির্বাহের জন্য চাঁদাদাতা ইচ্ছা করলে পেনশন তহবিলে জমাকৃত অর্থের ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ হিসেবে উত্তোলন করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রেও ঋণের মাশুল দিতে হবে, যা ধার্য করবে কর্তৃপক্ষ। এ ঋণ সর্বোচ্চ ২৪ কিস্তিতে পরিশোধ করতে হবে এবং পুরো অর্থ চাঁদাদাতার হিসাবে জমা হবে।
পেনশন স্কিমে একাধিকবার ঋণ নেওয়ার সুযোগ থাকছে। তবে প্রথমবার গৃহীত ঋণ পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত দ্বিতীয়বার ঋণ নেওয়া যাবে না। এ ক্ষেত্রে ঠিক কতবার ঋণ নেওয়া যাবে, বিধিমালায় তা সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়নি। এ ছাড়া চাঁদাদাতারা চাইলে স্কিম পরিবর্তন করতে পারবেন, বিধিমালায় সেই সুযোগ রাখা হয়েছে। বলা হয়েছে, চাঁদাদাতা যৌক্তিক কারণ উল্লেখ করে স্কিম পরিবর্তনের আবেদন করতে পারবেন। তিনি বর্তমানে যে স্কিমে আছেন, তার পরিবর্তে অন্য স্কিম বা স্কিমের চাঁদা প্রদানের হার পরিবর্তন করতে পারবেন, অর্থাৎ মাসে ১ হাজার টাকা চাঁদা দিয়ে শুরু করলেও পরবর্তীকালে কেউ চাইলে ২ হাজার বা ৫ হাজার টাকা চাঁদা দিতে পারবেন।
বিধিমালায় আরও বলা হয়েছে, স্কিম পরিবর্তনের ক্ষেত্রে রূপান্তরিত স্কিমে নতুন চাঁদার হিসাব পৃথক রেখে লভ্যাংশ ও পুঞ্জীভূত জমার অর্থের হিসাব করতে হবে, যা আগের স্কিমের পুঞ্জীভূত জমার সঙ্গে যুক্ত হবে।
সভায় এমসিসিআই সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, বর্তমান সরকার একটানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকায় দেশের সব পর্যায়ে প্রভূত উন্নয়ন সাধিত হয়েছে, যা সর্বজনবিদিত। সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যাহত রাখার পাশাপাশি ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গঠনে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, এই সরকার ব্যবসায়ী সম্প্রদায়সহ দেশের আপামর জনতার কল্যাণে সুদূরপ্রসারী ও সাহসী অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, যেগুলোর মধ্যে এই স্কিম অন্যতম একটি। দেশের মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়েছে, কিন্তু সেই বিবেচনায় শেষ বয়সে তাদের কোনো নিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল না। এই স্কিম সেই শূন্যতা পূরণে আনেকটা সহায়ক হবে। আলোচনাসভায় এমসিসিআই শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।