• বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০১:১৮ পূর্বাহ্ন
  • Bengali Bengali English English
সংবাদ শিরোনাম
একীভূত হচ্ছে ৩০০ প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়টার্সের প্রতিবেদন ; ৫ মিলিয়ন ডলারে মুক্তি পেয়েছে এমভি আব্দুল্লাহ ইসরায়েলে হামলা করেছে ইরান ইসরায়েলে আঘাত হানতে সক্ষম ইরানের শক্তিশালী ৯ ক্ষেপণাস্ত্র নওগাঁয় ৪২ কেজি ৫০০ গ্রাম গাঁজাসহ গ্রেফতার ২ মান্দায় মদপানে তিন কলেজ ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা নওগাঁর মান্দায় বিষাক্ত মদপানে তিন বন্ধুর মৃত্যু সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করুন: প্রধানমন্ত্রী ঈদের ৫ দিনের সরকারি ছুটি শুরু ঈদুল ফিতর বৃহস্পতিবার ঈদুল ফিতরের তারিখ জানাল সৌদি আরব ১৮ জেলায় ঝড়ের আভাস, নদীবন্দরে সতর্কতা বিরল সূর্যগ্রহণ আজ, দিন হবে রাতের মতো ঝড় ও বজ্রপাতে তিন জেলায় নিহত ৭ আজ বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস

১৯ শতাংশ স্ট্রোকের রোগীর ভুঁড়ি আছে

প্রজন্মের আলো / ১৩৯ শেয়ার
Update বৃহস্পতিবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২১

অনলাইন ডেস্ক:

দেশে প্রতি চারজনে একজন স্ট্রোক আক্রান্ত হন। আর স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ১৯ শতাংশেরই ভুঁড়ি আছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) নিউরোসার্জারি বিভাগের চিকিৎসকরা।

বুধবার (২৭ অক্টোবর) বেলা ১১টায় ঢামেকে বিশ্ব স্ট্রোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সেমিনারের মূল প্রবন্ধে এ তথ্য জানান নিউরোসার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শফিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, স্ট্রোকে আক্রান্তের অন্যতম কারণ মানসিক চাপ। আর এই রোগে আক্রান্তদের ১৭ শতাংশই মানসিক চাপের শিকার।

শফিকুল ইসলাম বলেন, খাদ্যাভ্যাসের অনিয়ম স্ট্রোকের অন্যতম কারণ হিসেবেও আমরা দেখি। পরিসংখ্যান বলছে, স্ট্রোকে আক্রান্তদের ২৩ শতাংশই জাঙ্ক ফুডে আসক্ত। এছাড়াও কোলেস্টেরল এইচডিএল কম থাকলে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে প্রায় ২৭ শতাংশ। আমরা দেখে থাকি, প্রতি ১০০ জন স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীর মধ্যে ৩৬ জনই অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনে অভ্যস্ত।

তিনি আরও বলেন, স্ট্রোকে আক্রান্ত হলে বা লক্ষণ দেখা মাত্রই ৩ থেকে ৪ ঘণ্টার মধ্যে রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে আসতে হবে। তাহলেই আমরা চিকিৎসার মাধ্যমে তাকে স্বাভাবিক জীবন ফিরিয়ে দিতে চেষ্টা করতে পারব। বিশ্বব্যাপী ৮ কোটি মানুষ স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়েছেন।

অনুষ্ঠানে অন্য বক্তারা বলেন, মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল কমে গেলে ও অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দিলে মস্তিষ্কের কোষগুলো মারা যেতে শুরু করে। একে স্ট্রোক বলা হয়। স্ট্রোক দুই প্রকার। একটিকে বলে ইসকেমিক স্ট্রোক। এক্ষেত্রে মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল কমে যায়। সাধারণত রক্তনালীর ভেতর জমাট বাঁধা রক্তপিণ্ড এ সমস্যা করে থাকে। মোট স্ট্রোকের ৮০ শতাংশই এ ধরনের স্ট্রোক।

অপরটি হলো হেমোরেজিক স্ট্রোক। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হলে এটি দেখা যায়।

আগামী ২৯ অক্টোবর বিশ্ব স্ট্রোক দিবস। ‘না করলে সময় ক্ষেপন, স্ট্রোক হলেও বাঁচবে জীবন’- শ্লোগানকে সামনে রেখে নানা আয়োজনে দিবসটি পালন করা হবে।

পরিসংখ্যান বলছে, প্রতি বছর সাত লাখ মানুষ স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়। এদের মধ্যে মারা যান এক লাখ ৬০ হাজার রোগী। আমেরিকানদের মৃত্যুর তৃতীয় কারণ স্ট্রোক। বাংলাদেশেও এই সংখ্যা কম নয়। স্ট্রোকে আক্রান্তদের দুই-তৃতীয়াংশই মারা যান বা চিরতরে পঙ্গু হয়ে যান। দক্ষিণ এশীয়দের মধ্যে স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেক বেশি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও সংবাদ

Categories