• বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ০৪:৪৯ পূর্বাহ্ন
  • Bengali Bengali English English
সংবাদ শিরোনাম
‌‘রাত ৮টার পর দোকান খোলা রাখলে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে’ ২ মে পর্যন্ত দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা মঙ্গলবার ২৭ জেলার মাধ্যমিক ও কলেজ পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ যেসব জেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ সোমবার শহীদ শেখ জামালের জন্মদিন আজ আগামী রোববার থেকে খোলা থাকবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৪১ জেলায় তাপপ্রবাহ, আরও বাড়বে গরমের তীব্রতা সারাদেশে হিটস্ট্রোকে চার মৃত্যু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি নয়, এবার নতুন দাবি এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের সময় বাড়ল দেশে তীব্র তাপমাত্রা, ঈদের পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি বাড়ল আরো ৭ দিন রোববার খুলবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান: হিট অ্যালার্টে স্কুল বন্ধ চান অভিভাবকরা বিমা কোম্পানী পরিচালনায় আসছে নতুন আইন সারাদেশে হিট অ্যালার্ট জারি ইসরায়েলের সঙ্গে গুগলের চুক্তি, প্রতিবাদ করায় চাকরি গেলো ২৮ কর্মীর

৬৯ শতাংশ তরুণ মনে করে, উন্নয়নে মূল বাধা দুর্নীতি-স্বজনপ্রীতি

প্রজন্মের আলো / ৪৪ শেয়ার
Update রবিবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৩
সংগৃহীত ছবি

অনলাইন ডেস্ক:

দেশের ৬৯.৪ শতাংশ তরুণ দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতিকে উন্নয়নে প্রধান বাধা হিসেবে দেখেন। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অভাবকে ৪৬.৫ শতাংশ, প্রভাবশালী গোষ্ঠীর স্বার্থরক্ষায় প্রাধান্য দেওয়াকে ৩২.৬ শতাংশ এবং প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতার-সমন্বয়ের অভাবকে ২৮.১ শতাংশ তরুণ উন্নয়নে প্রধান বাধা মনে করেন। এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফরম, বাংলাদেশের এক জরিপে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

চলতি বছরের সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর পর্যন্ত এক মাসে ৫ হাজার ৭৫ জন তরুণ (১৮-৩৫) অনলাইন জরিপে অংশ নেন। এছাড়াও ২৮টি তরুণ নেতৃত্বের প্রতিষ্ঠান, ২০টি ফোকাস গ্রুপ ডিসকাশন ও গত ১০ বছরের লিটারেচার রিভিউয়ের মাধ্যমে এই জরিপ পরিচালনা করা হয়।

 শনিবার রাজধানী ঢাকার কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটের অডিটোরিয়ামে যুব সম্মেলন ২০২৩-এ জরিপের ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফরম, বাংলাদেশের আহ্বায়ক ও সিপিডির ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বাংলাদেশের জনসংখ্যা এখন প্রায় সাড়ে ১৬ কোটি, বড় অংশই তরুণ। তাদের বয়স ১৮ থেকে ৩৫-এর মধ্যে। বাংলাদেশের এখন সবচেয়ে বড় সম্ভাবনাময় জনশক্তি যুবরা।

প্রতি দশকে এই বয়সীদের সংখ্যা ও অনুপাত বাড়ছে। ২০০১ সালে ছিল ২৯ শতাংশ, ২০১১ সালে ২৯.৫ শতাংশ এবং ২০২২ সালে এসে দাঁড়িয়েছে ৩৩.৫ শতাংশ। ২০০৮ সালের নির্বাচনের পরে নতুন ভোটার হয়েছে সাড়ে ৩ কোটি তরুণ। এই যুবসমাজের আশা আকাঙ্ক্ষা প্রত্যাশা আগামী দিনের বাংলাদেশে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে যুক্ত করতে আমরা কতটুকু সফল, কতটুকু কার্যকর, কতটুকু ফলপ্রসূ এই জিজ্ঞাসাটা আমাদের বারবার আসছে। এই জিজ্ঞাসার ভেতরে একটা বড় জিজ্ঞাসা হলো রাষ্ট্র, দেশ, রাজনীতি, সমাজনীতি, পেশা পরিচালনার ক্ষেত্রে ঘর-সমাজের ভূমিকা আমরা বজায় রাখতে পারছি কি না এবং সেই ভূমিকা বাড়ানোর একটা বড় জায়গা হলো গণতন্ত্রের চর্চার ক্ষেত্রে।

তিনি বলেন, সামনের নির্বাচনে আমরা যুবসমাজের অংশগ্রহণকে আরও জোরদারভাবে দেখতে চাই, আশা করি নির্বাচন নিয়ে যেসব সংশয়, বিভ্রান্তি বা উদ্বেগ আছে সেগুলো আগামী দিনে কেটে যাবে।

জরিপে দেখা গেছে, তরুণরা সম্প্রতি অবকাঠামো, তথ্যপ্রযুক্তির বিস্তার, শিক্ষায় অভিগমন এবং সামাজিকনিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতা বৃদ্ধির মতো বিষয়ে সাফল্য এসেছে বলে মনে করেন।

যুব জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে উন্নয়নের অগ্রাধিকার হিসেবে দুর্নীতি দমন, জবাবদিহিতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার কথা বলেছেন ৫৬.২ শতাংশ। ৫৫.৪ শতাংশ উল্লেখ করেছেন মানসম্মত শিক্ষা ও দক্ষতা বৃদ্ধি। ৪০.২ শতাংশ জরিপ অংশগ্রহণকারী তরুণ দেশ ও দেশের বাইরে কর্মসংস্থানের ওপর জোর দিয়েছেন।

জরিপে দেখা যায়, ৬০.৪ শতাংশ তরুণ মনে করেন, রাজনীতিতে জড়িত তরুণরা কার্যত সাধারণ তরুণদের প্রায় সব সময় প্রতিনিধিত্ব করেন। অন্যদিকে ৩০ শতাংশ মনে করেন একদমই করেন না। ২৪.২ শতাংশ মনে করেন, করলেও তা খুবই কম। ৩৭.৩ শতাংশ অংশগ্রহণকারী বলেছেন, স্ব-স্ব এলাকায়/জাতীয় নীতিনির্ধারণে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সাধারণ তরুণদের সঙ্গে নিজ থেকে আলোচনা একদমই করে না। ২১.৭ শতাংশ মনে করেন আলোচনা করলেও তা খুবই কম।

৬৭.৮ শতাংশ মনে করেন সরকারের বাইরে থাকা সামাজিক প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও) অথবা নাগরিক সমাজের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বা তাদের মাধ্যমে উন্নয়ন ও নীতিতে মতামত প্রকাশ করা সবচেয়ে কার্যকর পন্থা। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মতামত প্রকাশ করা সমর্থন করেছেন ৫৯.৬ শতাংশ।

৬০.৪ শতাংশ যুব জরিপ অংশগ্রহণকারী বেকারদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে নিবন্ধন ব্যবস্থা চালু করার পক্ষে। ৪৮.১ শতাংশ শ্রমিকদের জন্য মৌলিক জীবনযাত্রার খরচ মেটাতে সক্ষম এমন মজুরি প্রদান করার পক্ষে। ৪৮.১ শতাংশ যুব উদ্যোক্তাদের জন্য স্বল্প সুদে ঋণের ব্যবস্থা করা এবং ৪১.৪ শতাংশ ডিজিটালনিরাপত্তা আইনের মতো মতপ্রকাশের স্বাধীনতাবিরোধী বিভিন্ন আইনি ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা বাতিল করার দাবি জানান। সূত্র:ইত্তেফাক


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও সংবাদ

Categories