এমরান মাহমুদ প্রত্যয়:
লিখতে গিয়েই তার মুখ মনে এল। কতই না সুন্দর প্রভাতে এই পৃথিবীর প্রভাতের রক্তিম সূর্য রঙিন করে দেয় গোটা এই ভুবন। পাখিরা ডাকে গাছে গাছে বাগানে ফুটে ফুল,মোহিত করে আকাশ বাতাস। দক্ষিণা হিমেল হাওয়ায় বয়ে যায় পাতায় পাতায়। অতীতকে মনে পড়ে আমি বসে ভাবি নিরালায় একাএকি নিঃসঙ্গ জীবনে।স্মৃতি হানা দেয় মনের মণি কোঠায়, বিস্মৃত জাগে মনে। আমার ভালোবাসা অথবা প্রেম সংক্রান্ত কোন স্মৃতি নেই। যাকে ঠিক ভালোবাসা অথবা প্রেম বলা যায়।
একদিন হৃদিতি নাকের ডগায় বিন্দু বিন্দু ঘাম দেখে বলেছিল তোর বোউ তোকে খুব ভালোবাসবে দেখিস আমি সত্যি- বলছি!সেই আমার প্রথম প্রেম,সেই আমার প্রথম কল্পনার রমণীর ভালোবাসা পাওয়া হঠাৎ যৌবন ছোঁয়া কিশোরের প্রথম ভালোবাসা।স্মৃতি তলা এলে মনে পড়ে। একদিন নখ কাটতে কাটতে আঙুল কেটে গেলে শিশির হয়ে রক্ত ঝরেছিল, ডেটলে রক্তাক্ত ক্ষত ধুয়ে মুছে দিয়ে “হৃতিদি”বলেছিল আমি তার চিরকালের শত্রু। আমি আজও শত্রু-মিত্রর তফাৎ বুঝিনা।
নিজেই শত্রু হয়ে,আমি আজও অপেক্ষামান ঘুরে ফিরে স্মৃতি সম্মুখে এসে এখনো দাঁড়ায়,উত্তর খুঁজি নিজের বিবেকের কাছে। আমার এছাড়া ভালোবাসা অথবা প্রেমের কাছাকাছি আর কোন স্মৃতি নেই। সেই আমার প্রেম অধ্যবধি সেই আমার পুরনো ভালোবাসা। আমার একাকী যাত্রা জীবনের নিঃসঙ্গতা বুঝে,সদ্য বিবাহিত সহপাঠী একদিন শিয়রের কাছে বসে বলেছিল চল “ক” দিন আমার বাড়ী পদ্মার কিনারে মাতাল হাওয়ায় কাটাবি।আমি জানি আজও সেই পদ্মার মাতাল হাওয়া একমাত্র ভালোবাসা সেই মুহূর্তের প্রেম। আমার ভালোবাসা অথবা প্রেম সংক্রান্ত আর কোন স্মৃতি নেই। সেই আমার ? ভা….লো….বা….সা।